নতুন হিজাব আইনের সমালোচনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান হিজাব না পরলে নারীদের জন্য কঠোর শাস্তি আরোপের বিধান রেখে নতুন আইনটি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরানে নারীদের জনসমক্ষে তাদের চুল ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক। তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি একথা জানিয়েছে। ক্রমবর্ধমানভাবে, বিশেষ করে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পরে, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির নারীরা হিজাব ছাড়াই জনসমক্ষে উপস্থিত হচ্ছে।
আমিনিকে ড্রেস কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সংসদ নতুন ‘হিজাব ও শুদ্ধতা’ আইনটি অনুমোদন করেছে। তবে এটি কার্যকর হতে ১৩ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর প্রয়োজন। সোমবার গভীর রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘এই আইনটি প্রণয়নের জন্য দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে এটি সম্পর্কে আমার অনেক আপত্তি আছে।’ পূর্ণাঙ্গ আইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত না হলেও ইরানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো বলছে, যারা যথাযথভাবে হিজাব পরেন না, অথবা জনসমক্ষে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্পূর্ণরূপে হিজাব ত্যাগ করেন, এমন নারীদের জন্য আইনটিতে ২০ মাসের গড় বেতনের সমতুল্য জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।
এই আইন লঙ্ঘনকারীদের অবশ্যই ১০ দিনের মধ্যে অর্থ প্রদান করতে হবে। নইলে তাদেরকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির মতো সরকারি পরিষেবাগুলোতে বিধিনিষেধের সম্মুখীন হতে হবে। ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘এ আইনের কারণে আমরা সমাজে অনেক কিছু নষ্ট করার ঝুঁকি নিয়েছি।’ নেতাদের অবশ্যই এমন কাজ এড়িয়ে চলতে হবে, যা জনগণকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে।