"অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজের ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের"
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করতে ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সাথে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সাম্প্রতিক ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের সাথে দেশটির সম্পৃক্ততার জল্পনা-কল্পনা দৃঢ়তার সাথে নাকচ করে দিয়েছে।
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার এ সময়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত ও আগ্রহী।’ তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
তবে তিনি দেশটিতে সাম্প্রতিক বিক্ষোভে বিদেশি প্রভাব সম্পর্কিত দাবির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। ছাত্র বিক্ষোভে চীনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্যাটেল জবাব দেন, ‘আমি শুধু শুধু অনুমান করতে যাচ্ছি না।’ এ সময় একজন সাংবাদিক বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সাথে ভারতের ঐতিহাসিক মৈত্রী তুলে ধরে কিছু ভারতীয় মিডিয়া আউটলেট সরকার বিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনেছে বলে উল্লেখ করেন।
জবাবে প্যাটেল দৃঢ়ভাবে এই দাবিগুনো নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি সেই প্রতিবেদনগুলো
দেখিনি। কিন্তু আমি যা দ্ব্যর্থহীনভাবেই বলতে পারি, তা হলো, সেগুলো (প্রতিবেদনগুলো) সত্য নয় আর সম্ভবত সে কারণেই আমি সেগুলো দেখিনি।
প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ই আগস্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন করে পুনরুজ্জীবিত গণতান্ত্রিক পথের আশা জাগিয়ে তুলেছে।