ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য ইস্যুতে আলোচনা করতে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন"
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেন নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে লন্ডনে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে শনিবার দেশটির পররাষ্ট্র বিভাগ এমন কথা জানালো। খবর এএফপি’র।
১৪ বছরের কনজারভেটিভ শাসনের অবসানের পর স্টারমারের লেবার পার্টি জুলাইয়ের নির্বাচনে জয়লাভ করার পর থেকে সোমবার এবং মঙ্গলবার ব্লিঙ্কেনের লন্ডন সফর হবে সবচেয়ে সিনিয়র পর্যায়ের কর্মকর্তার সফর।
পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ব্লিঙ্কেন ‘আমাদের বিশেষ সম্পর্ক পুন:নিশ্চিতকরণে একটি কৌশলগত সংলাপে অংশ নেবেন।’
মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, তিনি এশিয়ার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য এবং ‘ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করবেন।’
এরআগে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছিল যে স্টারমার আগামী শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। নির্বাচনের পর এটি হবে তার দ্বিতীয় ওয়াশিংটন সফর।
স্টারমার দায়িত্ব গ্রহণের কয়েকদিন পর ওয়াশিংটনে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেন। ওই সম্মেলন চলাকালে ১০ জুলাই তিনি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাক্ষাত করেন।
ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্র বেশিরভাগ বৈশ্বিক ইস্যুতে ঘনিষ্টভাবে সহযোগিতা করেছে এবং বাইডেনের ডেমোক্র্যাটদের ঐতিহাসিকভাবে রক্ষণশীলদের চেয়ে লেবার পার্টির ঘনিষ্ট হিসেবে দেখা হয়ে আসছে।
তবে স্টারমার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ইসরাইলের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে তার সরকার কিছু অস্ত্রের চালান স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে কারণ এসব অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে মানবিক আইন লঙ্ঘন হতে পারে।
লেবার পার্টির সরকার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের অধিকারকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য তাদের রক্ষণশীল পূর্বসূরির পরিকল্পনাও বাদ দিয়েছে।