উৎপাদন খরচ কমিয়ে সাশ্রয়ী ডিম ও মাংস ভোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সবার জন্য নিরাপদ ডিম ও মুরগির মাংসের জোগান নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘উৎপাদন খরচ কমিয়ে কিভাবে সাশ্রয়ীমূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানো যায় সে চেষ্টাই করতে হবে।’ আজ শনিবার সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু’তে ওয়ার্ল্ড’স পোলট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ (ডব্লিউপিএসএ-বিবি) শাখা আয়োজিত সাশ্রয়ী এবং টেকসই পোল্ট্রি উৎপাদন শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেছেন, কোন অবস্থাতেই আমরা ডিম আমদানি করতে চাইনা। ডিম আমদানির সাথে সে দেশের রোগ-জীবাণু আমাদের দেশে প্রবেশ করবে। এর ফলে পোল্ট্রিশিল্প টিকতে পারবেনা, ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আমরা বুঝতে পারছি বন্যার কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে, উৎপাদন কমে গেছে কিন্তু চাহিদা তো কমেনি। তাই গ্রাহক পর্যায়ে ডিম ও মুরগি সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গার্মেন্টস শিল্প, প্রবাসী শ্রমিকদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও পোল্ট্রিশিল্পের অবদান কোন অংশে কম নয়। এ সেক্টর আমাদের ডিম ও মাংসের বিশাল চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে। পোল্ট্রিশিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে সংশি¬ষ্ট সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, আমাদের দৈনিক খাদ্য তালিকায় প্রোটিনের চাহিদার একটি উলে¬খযোগ্য অংশ পূরণ হয় এ শিল্প থেকে। একদিকে যেমন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে অন্যদিকে সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে পোল্ট্রিশিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে ।
ওয়ার্ল্ড'স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ মোহাম্মদ রেয়াজুল হক উপস্থিত ছিলেন।