‘খাতিরের লোক’ থেকে আগের সরকার বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনেছে: জ্বালানি উপদেষ্টা
আগের সরকার তাদের ‘খাতিরের লোকদের’ কাছ থেকে বেশি মূল্যে বিদ্যুৎ কিনেছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেছেন, “২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বাড়াতে আইন করা হয়। তবে কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়াই আগের সরকারের খাতিরের লোককে প্রকল্পগুলো দেওয়া হয়। এমনকি তাদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে বিদ্যুৎও কেনা হয়েছে। বর্তমানে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে যে, আমরা বকেয়া টাকা দিতে পারছি না।”
শনিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়ায় ‘স্পেকট্রা সোলার পার্ক লিমিটেডের’ ৩৫ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আগের সরকারের সমালোচনা করে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির বলেন, “আগে কোনো রকম বিবেচনা না করে বিদ্যুৎ বা জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করা হত। কিন্তু আপনারা জানেন এই সরকার জনপ্রত্যাশার সরকার। তাই বিবেচনা না করে আমরা বিদ্যুৎ বা জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করবো না।
“দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই ২০১০ সালের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের ভবিষ্যৎ প্রয়োগ বন্ধ করে দিয়েছি। সামনে প্রতিযোগিতা ছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আর কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে না।”
নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বেশি জোড় দেওয়ার কথা জানিয়ে বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিবছর বিদ্যুৎ খাতে ৪২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। তবে আগে বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনায় এই সমস্যা হয়েছে।
“কম দামে বিদ্যুৎ না কেনা পর্যন্ত আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আমাদের কাছে আলাদিনের জাদুর চেরাগ নেই। ১৬ বছরের অনিয়ম-দুর্নীতি ১৬ দিনেই অপসারণ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা সব খাতে বৈষম্য নিরসনের আপ্রাণ চেষ্টা করব।”
বন্যাকবলিত এলাকায় কবে বিদ্যুৎ ফিরবে এমন প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ ফাওজুল বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সরবারহ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে, দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।