জর্জিয়ার পার্লামেন্ট অধিবেশন বসছে
ইউরোপ-পন্থী প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী ফলাফল বাতিলের দাবি ও বিরোধীদের ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে জর্জিয়ার নতুন পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন সোমবার বৈঠকে বসছে। ২৬ অক্টোবরের ভোটের প্রায় এক মাস পর ক্ষমতাসীন জর্জিয়ান ড্রিম পার্টিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাপক বিতর্কিত ও সমালোচিত এই নির্বাচনের পর দেশটিতে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
পশ্চিমাপন্থী বিরোধী দলগুলো নতুন পার্লামেন্টকে ‘অবৈধ’ বলে মনে করছে। তারা এই পার্লামেন্টে যোগ দিচ্ছে না। ইউরোপ-পন্থী প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিশভিলি ফলাফল বাতিলের জন্য সাংবিধানিক আদালতে মামলা করেছেন। নির্বাচনকে ঘিরে সরকারি দলের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন।
ফিগারহেড নেতা রাশিয়াকে ভোটে হস্তক্ষেপের জন্য অভিযুক্ত করেছেন- যা মস্কো অস্বীকার করেছে। প্রেসিডেন্ট আইনসভা আহ্বান করার জন্য প্রেসিডেন্টের ডিক্রি জারি করতেও অস্বীকার করেছেন। জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছে। দলটি নির্বাচনে পার্লামেন্টের ১৫০ সদস্যের মধ্যে ৮৯টি আসন পেয়েছে।
এদিকে সংসদীয় স্পিকার শালভা পাপুয়াশভিলি বলেছেন, আইন প্রণেতারা প্রেসিডেন্টের সমন ছাড়াই সমাবেশ করবেন। তিনি শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সংসদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ২৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে সোমবার সকালে সংসদ ভবনের বাইরে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিরোধী দলগুলো। শীর্ষস্থানীয় এক সাংবিধানিক আইন বিশেষজ্ঞ ভাখুষ্টি মেনাবদে বলেছেন, ‘সাংবিধানিক আদালত জুরাবিশভিলির মামলার বিষয়ে তার রায় না দেওয়া পর্যন্ত নতুন পার্লামেন্টের অধিবশেন আহ্বান করা যাবে না।’
বিরোধী দল বলেছে, জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি সরকার রাশিয়ার প্রতি ককেশাস দেশের পররাষ্ট্র নীতির দিকে ঝুঁকছে ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের দীর্ঘস্থায়ী দাবিকে ক্ষুন্ন করছে। দলটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ভোট গ্রহণের পর থেকে নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে কয়েক হাজার মানুষ তিবিলিসির রাস্তায় নেমে আসে। ভোটের সময় ‘অনিয়ম’ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র।