জর্জিয়ায় বিতর্কিত নির্বাচনের প্রতিবাদ বিক্ষোভে পুলিশের দমন অভিযান
জর্জিয়ার পুলিশ মঙ্গলবার গত মাসের নির্বাচনে কারচুপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের মারধর ও গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে। পশ্চিমাপন্থী বিরোধীরা এ নির্বাচনে শাসক দলের পক্ষে কারচুপি করা হয়েছে উল্লেখ করে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে ও নিন্দা জানিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র ২৬ অক্টোবরের নির্বাচনে ভোটে গ্রহণের সময় ‘অনিয়ম’ হয়েছে দাবি করে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। রুশপন্থী জর্জিয়ান ড্রিম পার্টি নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। বিরোধী দলগুলো ফলাফলকে স্বীকৃতি দিতে বা নবনির্বাচিত সংসদে প্রবেশ করতে অস্বীকার করেছে। এ নির্বাচনকে তারা ‘অবৈধ’ বলে মনে করে।
নির্বাচনে কারচুপির প্রতিবাদে তিবিলিসিতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছে পিরভেলি ও এমতাভারি টিভি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পুলিশ তিবিলিসি স্টেট ইউনিভার্সিটির বাইরে বিক্ষোভকারীদের একটি অবস্থান কর্মসূচিকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সেখানে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী তাঁবু স্থাপন করেছিল। এ কারণে জর্জিয়ার রাজধানীর একটি প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী ও অন্তত একজন সাংবাদিককে মারধর করে আটক করা হয়েছে বলে টিভি ফুটেজে দেখা গেছে।
বিরোধীরা নতুন আইনসভার প্রথম অধিবেশনের দিনে একটি নতুন গণ-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল সোমবার বলেছেন যে, জোটটি ‘জর্জিয়ায় একটি মিশন পাঠাবে এবং নির্বাচনটির তদন্ত করতে হবে।’
জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট সালোমে জুরাবিশভিলি এ নির্বাচনকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন এবং রাশিয়া এতে হস্তক্ষেপ করেছে বলে দেশটিকে অভিযুক্ত করেছেন। তার এই অভিযোগ মস্কো অস্বীকার করেছে। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ক্ষমতাসীন জর্জিয়া ড্রিমের দ্বন্দ্ব চলছে। সালোমে নতুন ভোটের জন্য বিরোধীদের আহ্বানে যোগ বলেন, তিনি নতুন সংসদ আহ্বান করার জন্য ডিক্রি জারি করবেন না এবং এ নির্বাচনের ফলাফলকে একটি সাংবিধানিক আদালতে চ্যালেঞ্জ করবেন।
জর্জিয়া ড্রিমের প্রধানমন্ত্রী ইরাকলি কোবাখিদজে নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে জোর দিয়ে বলেছেন, জুরাবিশভিলির পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টের তলব ছাড়াই আগামী সোমবার সংসদ আহ্বান করবে। জর্জিয়াকে ইউরোপীয় পথ থেকে কক্ষচ্যূত করে মস্কোর কক্ষপথে ফিরিয়ে আনার জন্য সমালোচকরা উপর্জুপরি রক্ষণশীল দলকে দায়ী করেছেন।