জি২০-তে কোরিয়া উত্তেজনা নিয়ে চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
চীন ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার ব্রাজিলে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে এক বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রিও ডি জেনেরো থেকে এএফপি এ খবর জানায়। ২০২২ সালে ইউক্রেনে মস্কোর হামলার পর থেকে চীন ও রাশিয়া আরও কাছাকাছি এসেছে। পশ্চিমা দেশগুলো বেইজিংকে রাশিয়ার প্রতি যুদ্ধে নিরঙ্কুশ সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ এনেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত সপ্তাহে মার্কিন নেতা জো বাইডেনকে বলেন, চীন উপদ্বীপে তার আঞ্চলিক স্বার্থ রক্ষা করবে, তবে রাশিয়াকে উত্তর কোরিয়ার সামরিক সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে নীরব থেকেছেন।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা সিসিটিভি জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সোমবার রিও ডি জেনেরো’তে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে দেখা করেছেন। উভয় পক্ষ সেখানে ‘ইউক্রেন সংকট ও কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতির বিষয়ে মত বিনিময় করেছেন।’ তবে প্রতিবেদনে আলোচনার সুনির্দিষ্ট বিবরণ দেওয়া হয়নি। ওয়াং বলেছেন, চীন সহযোগিতা ও জোটকে আরও জোরদার করতে রাশিয়ার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক। তিনি বলেন, ‘বেইজিং আমাদের নিজ নিজ দেশের উন্নয়ন, পুনরুজ্জীবন এবং বৈশ্বিক শাসনের সংস্কারে যথাযথ অবদান রাখবে।’
চীন ও রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোয় কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার সম্পর্ক আরো জোরদার করেছে। তবে কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ইউক্রেনে সম্ভাব্য মোতায়েনের জন্য উত্তর কোরিয়ার সৈন্য রাশিয়ায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত বেইজিংকে পূর্ব এশিয়ায় তার নিরাপত্তার প্রভাব নিয়ে অস্বস্তিতে ফেলেছে। চীন ঐতিহ্যগতভাবে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক মিত্র এবং পিয়ংইয়ংয়ের অর্থনৈতিক সহায়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, গত সপ্তাহে পেরুর এক শীর্ষ সম্মেলনে শি বাইডেনকে বলেন, বেইজিং কোরীয় উপদ্বীপে সংঘাত ও অশান্তি ঘটতে দেবে না। তার কৌশলগত নিরাপত্তা ও মূল স্বার্থ হুমকির মুখে পড়লে, চীন তখন চুপ থাকবে না ।