টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা সাকিবের
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ভারতের বিপক্ষে কানপুরে টেস্টে মাঠে নামার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। আগামী মাসে ঘরের মাঠে শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের মাধ্যমে সাদা পোষাকের ক্রিকেটকে বিদায় জানাচ্ছেন অল রাউন্ডার সাকিব। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাঠ থেকে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন তিনি।
একই সাথে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেও অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। এই বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংস্টোনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি সংক্ষিপ্ত সংস্করনে তার শেষ ম্যাচ হয়ে থাকলো। সাকিব জানান ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে খেলতে না পারলে আগামীকাল থেকে কানপুরে শুরু হতে যাওয়া ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটিই হবে বাংলাদেশের হয়ে বড় সংস্করণে তার শেষ ম্যাচ। ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে তার পরিকল্পনা জানতে চাইলে আগামী বছর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত খেলার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন সাকিব।
আজ কানপুরে সাংবাদিকদের সাকিব বলেন, ‘ঘরের মঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টের পর আমার অবসর নেওয়ার ইচ্ছা। আমি এটা বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ এবং নির্বাচকদের সাথে শেয়ার করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার সাথে বিসিবি একমত এবং তারা বলেছে সম্ভাব্য সবকিছু করার চেষ্টা করছে তারা। যাতে আমি নিরাপদ অনুভব করি। আমি বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাই এবং ঐ দু’টি টেস্ট খেলতে চাই বা মিরপুরের ম্যাচ দিয়ে সেখানে শেষ করতে চাই।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিলো আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে শেষ করেছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার সময় আমার শেষ ম্যাচ খেলেছিলাম। নির্বাচক এবং বোর্ডের সাথে এটি নিয়ে আলোচনা করেছি। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে এই মুহূর্তে বলতে পারি এটি আমার জন্য সঠিক সময়। এর ফলে কিছু নতুন খেলোয়াড় আসার সুযোগ তৈরি হবে। আশা করি ২০২৬ বিশ্বকাপে তারা ভাল পারফর্ম করবে।’ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সূচি এখনও ঘোষণা করা হয়নি। বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই-বাছাই করতে একটি দল পাঠিয়েছিলো ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। সবকিছু দেখে মনে হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে তারা খুশি।
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যূত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের সময় দেশে ছিলেন না সাকিব। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন অলরাউন্ডার সাকিব। তিনি বলেন, ‘যেহেতু দেশে অনেক কিছুই ঘটছে, স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু আমার ওপর নির্ভর করে না। আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক, তাই দেশে ফিরে যেতে আমার কোন সমস্যা হওয়া উচিত নয়। তবে বাংলাদেশে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা এবং পরিবারের সদস্যরা আমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। আশা করি পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে। এর একটা সমাধান হওয়া উচিত।’