দ্বিতীয় টেস্টে বাদ পড়তে পারেন বাবর আজম
মুলতানে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইনিংস পরাজয়ে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তান দলে পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার থেকে মুলতানে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন বাবর আজম। নব গঠিত নির্বাচক কমিটির সুপারিশেই বাবর বাদ পড়ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। শুক্রবার প্রথম টেস্ট পরাজয়ের ঘন্টাখানেকের মধ্যেই লাহোরে সভায় বসেছিল নির্বাচক কমিটি। পরেরদিনও পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির নেতৃত্বে মুলতানে আরো একবার আলোচনায় বসেছিল নতুন কমিটি।
প্রথম টেস্টে পরাজয়ের পরপরই বাবরের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে অধিনায়ক শান মাসুদ বলেছেন, বাবরই পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার। একইসাথে তিনি আরো বলেছেন খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকতেই পারে, কিন্তু এজন্য তাদেরকে কিছুটা সময় দিতে হবে। টেস্ট দলের কোচ জেসন গিলেস্পিও মাসুদের সাথে একই সুওে কথা বলেছেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে টেস্টে কোন হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি বাবর।
তিন বছরের চুক্তিতে নির্বাচক কমিটিতে পাঁচজনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে রয়েছেন আকিব জাভেদ, আসাদ শফিক, আজহার আলি, সাবেক আইসিসি আম্পায়ার আলিম দার ও এ্যানালিস্ট হাসান চিমা। এছাড়া যে ফর্মেটের দল নির্বাচন করা হবে সেই দলের কোচ ও অধিনায়কও নির্বাচক কমিটির সাথে কাজ করবেন। যদিও শুক্রবারের আলোচনায় মাসুদ কিংবাদ গিলেস্পি কেউই ছিলেন না। নির্বাচকরা শনিবার মুলতানে গিয়ে অধিনায়ক ও কোচের সাথে আলোচনা করেন। এই আলোচনায় আরো ছিলেন পিসিবি কিউরেটর টনি হেমিং। সূত্রমতে জানা গেছে একটি পক্ষ বাবরকে দলে ধরে রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু অধিকাংশই তাকে বাদ দেবার পক্ষে।
গত দুই বছর যাবত ফর্মহীনতায় ভোগা বাবর আগামী ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া কায়দ-ই-আজম ট্রফিতে খেলবেন কিনা সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ২০১৯ সালের পর থেকে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে দুরে রয়েছেন বাবর। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলিয়ে বাবর করেছেন মাত্র ৩৫ রান। প্রথম ইনিংসে ইনসাইড এজ ও দ্বিতীয় ইনিংসে আউটসাইড এজে আউট হয়েছেন। সর্বশেষ ১৮ ইনিংসে তিনি হাফ সেঞ্চুরির দেখা পাননি। পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র চারজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার ৫০’র উপর রান না করে বাবরের থেকে বেশী রান করেছেন। ২০২৩ সালের শুরু থেকে নয় টেস্টে বাবরের গড় রান ছিল ২১’রও নীচে।
মূলত ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ^কাপ থেকে পাকিস্তানের বিদায়ের পরই বাবরের ফর্মহীনতার পাশাপাশি নেতৃত্বের বিষয়টি সামনে চলে আসে। ঐ আসরের পরই সব ধরনের ফর্মেটের অধিনায়কের পদ থেকে বাবর সড়ে দাঁড়ান। মাত্র এক সিরিজে শাহিন শাহ আফিদ্রিকে অধিনায়কত্ব দেবার পর চারমাসের মধ্যে আবারো টি২০ ও ওয়ানডেতে বাবরকে অধিনায়কত্ব ফিরিয়ে দেয়া হয়।
কিন্তু তার দ্বিতীয় মেয়াদে পাকিস্তান তিনটি টি২০ সিরিজে মাত্র একটিতে জয়ী হয়। সিরিজটি ছিল আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এ বছর টি২০ বিশ^কাপে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কাছে পরাজিত হয়ে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। মাত্র ছয় মাসের মধ্যে বাবর আবারো অধিনায়কের পদ থেকে সড়ে দাঁড়ান। এসময় বাবর ব্যাটিংয়ের উপর গুরুত্ব দেবার বিষয়টি উল্লেখ করেন।