দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের
প্রথম ওয়ানডে হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে রয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। সিরিজে সমতা ফেরানোর লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেন্ট কিটসের বাসেটেরের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৯৪ রান করেও ৫ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।
এই হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগাদের টানা ১১ ম্যাচ অপরাজেয় থাকার রেকর্ডের ইতি ঘটলো। এছাড়া টানা চারটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ড হাতছাড়া হবার শঙ্কায় পড়েছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। এ সময় ঘরের মাঠে দু’টি এবং ক্যারিবীয় সফরে দু’টি সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। রেকর্ড ধরে রাখতে ও সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এখনও সুযোগ আছে কারণ আমরা একটিমাত্র ম্যাচ হেরেছি এবং আমরা যদি পরের ম্যাচে জিততে পারি তাহলে আমাদের সিরিজ জয়ের সুযোগ থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভাল ব্যাটিং করেছি এবং ভাল সংগ্রহ পেয়েছিলাম। আমাদের বোলাররাও ভাল শুরু করেছিল। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে ভালো বোলিং হয়নি। তারা জুটি গড়ায়, আমরা উইকেট পাইনি। মাঝের ওভারে জুটি আমাদের হারের মুখে ছিটকে দেয়।’
তিন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরিতে প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে ২৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। জবাবে শেরফানে রাদারফোর্ডের সেঞ্চুরিতে ১৪ বল বাকি রেখে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রাদারফোর্ড ৮০ বলে ১১৩ ও অধিনায়ক শাই হোপ ৮৬ রান করেন। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বাংলাদেশ যে সংগ্রহ পেয়েছে সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ৭৪ রানের ইনিংস খেলতে ১০১ বল খেলেছেন মিরাজ। তার ধীরলয়ের ইনিংস নিয়ে সমালোচনা আছে।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মিরাজ যদি ১শ স্ট্রাইক রেটের আশেপাশে খেলতো তাহলে বাংলাদেশ রান ৩২০ ছাড়িয়ে যেতো। মিরাজ অবশ্য ২৯৪ রানের দলীয় স্কোরে সন্তুষ্ঠ। তার মতে রাদারফোর্ড এবং হোপের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কারণে মাঝের ওভারে ভাল বল করতে পারেনি বোলাররা। মিরাজ বলেন, ‘আমাদের স্কোর নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট ছিলাম। এই ধরনের উইকেটে ২৯৪ রান খুব ভালো স্কোর। কৃতিত্ব দিতেই হবে তাদের, বিশেষ করে হোপ ও রাদারফোর্ডকে। ভালো জুটি গড়েছে তারা। আমাদের বোলারদের জন্য কঠিন দিন ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে, কিন্তু তারপরও উইকেট ভালো দেখাচ্ছিল এবং তারা ভালো খেলেছে। আমরা এখান থেকে অনেক কিছু থেকে শিখবো। আমরা কিছু ভুল করেছি। পরের ম্যাচে কিভাবে আরও ভাল করা যায় সেদিকে মনোনিবেশ করবো। এখনও দু’টি ম্যাচ বাকি আছে, আমি মনে করি আমাদের ভালো করার সুযোগ আছে।’ ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ৪৫টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ। এরমধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় ২২টিতে ও বাংলাদেশের জয় ২১টিতে। ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
বাংলাদেশ দল : মেহেদি হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, পারভেজ হোসেন ইমন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, আফিফ হোসেন ধ্রুব, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও নাহিদ রানা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল : শাই হোপ (অধিনায়ক), ব্র্যান্ডন কিং (সহ-অধিনায়ক), কেসি কার্টি, রোস্টন চেজ, জাস্টিন গ্রেভস, শিমরন হেটমায়ার, আমির জাঙ্গো, আলজারি জোসেফ, মার্কিনো মিন্ডলি, জেডিয়া ব্লেডস, এভিন লুইস, গুডাকেশ মোটি, শেরফানে রাদারফোর্ড, জেইডেন সিলেস ও রোমারিও শেফার্ড।