নতুন নভোযানে চীনের একমাত্র মহিলা স্পেসফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার থাকবেন
বেইজিং মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে চীনের একমাত্র মহিলা স্পেসফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার এই সপ্তাহে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে পাঠানো তিন নভোচারীর একটি নতুন মিশনে ক্রুদের মধ্যে থাকবেন। জিউকুয়ান থেকে এএফপি এই খবর জানায়। চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সি (সিএমএসএ) জানায়, শেনঝু-১৯ মিশনটি উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন কেন্দ্র থেকে বুধবার (২০২৭ জিএমটি মঙ্গলবার) ভোর ৪:২৭ মিনিটে তিনজন মহাকাশ অভিযাত্রীসহ উক্ষেপন করা হবে।
ক্রুদের মধ্যে ওয়াং হাওজে রয়েছেন, মহাকাশ সংস্থার মতে বর্তমানে যিনি চীনের একমাত্র মহিলা স্পেসফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার। তিনি হবেন এই মিশনে অংশ নেওয়া তৃতীয় চীনা নারী। সিএমএসএ’র উপ-পরিচালক লিন জিয়াকিয়াং মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, কাই জুঝের নেতৃত্বে, দলটি আগামী বছরের এপ্রিলের শেষের দিকে বা মে মাসের শুরুতে পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে তাদের মিশন পরিচালনা করবে।
৪৮ বছর বয়সী প্রাক্তন বিমানবাহিনীর পাইলট চাই ২০২২ সালে শেনঝু-১৪ মিশনের অংশ হিসাবে তিয়াংগং-এ পূর্ববর্তী সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন। বর্তমানে তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে থাকা ক্রুরা আগত নভোচারীদের সাথে বিনিময় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ৪ নভেম্বর পৃথিবীতে ফিরে আসার কথা রয়েছে। চীনের মহাকাশ কর্মসূচি মানুষকে কক্ষপথে রাখায় তৃতীয় এবং মঙ্গল ও চাঁদে রোবোটিক রোভার অবতরণ করিয়েছে।
তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশনে-তিনজন মহাকাশচারীর দল রয়েছে, যাদের প্রতি ছয় মাস পর পর পরিবর্তন করা হয়। চীন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর অধীনে দেশটির ‘মহাকাশের স্বপ্ন’ অর্জনের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছে। বেইজিং বলেছে, দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে একটি ক্রু মিশন পাঠানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যেখানে এটি চাঁদের পৃষ্ঠে একটি ভিত্তি তৈরি করতে চায়।