নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে হবে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, মানুষের নিরাপদ খাদ্য পেতে প্রাণীর অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। মানুষের খাদ্য প্রাণীর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আজ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলা পরিষদ হল রুমে পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও মৎস্য খামারিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা যা খাই সবজি, ফল বা মাছ- মাংস এর মধ্যে থেকে যাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে। যার ফলে রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হলেও তা আর কাজ করছে না। তিনি বলেন, খামারিরা কোম্পানি থেকে মাছ-মুরগির খাবার না কিনে নিজেরা খাবার উৎপাদনে গুরুত্বারোপ করলে এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর যে কোনো প্রয়োজনে খামারিদের পাশে থাকবে।
খামারিরা মুরগির খাবারের মূল্য ও মুরগির বাচ্চার মূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে অবহিত করলে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা স্বাধীন খামারি হবেন, কন্ট্রাক্ট খামারি হবেন না। কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মত ব্যবসা করে যাচ্ছে, তারা লাভবান হচ্ছে কিন্তু প্রকৃত খামারিরা লাভবান হচ্ছে না। উপদেষ্টা অবৈধভাবে নদী-নালা-খাল-বিল দখলদারদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নদী-নালা-খাল-বিল বাঁচাতে প্রয়োজনে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে পরামর্শ করে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে পোল্ট্রি শিল্প গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে এবং এর ফলে নারীরা অনেকক্ষেত্রেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন। দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা আবদুল্লাহ আল-নূরের সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন টাঙ্গাইল জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো: মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ তারিকুল ইসলাম। এসময় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ পঞ্চাশ জন প্রাণিসম্পদ খামারি ও চল্লিশ জন মৎস্য খামারি উপস্থিত ছিলেন।