পলিথিন ও প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজে কঠোর নজরদারি
কক্সবাজার থেকে সেন্ট মার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে পর্যটকবাহী জাহাজে কঠোরভাবে নজরদারি করছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আজ (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে প্রথমদিনে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটি ঘাট থেকে ৬৫৩ জন যাত্রী নিয়ে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় এমভি বার আউলিয়া নামক একটি জাহাজ । এ জাহাজের যাত্রীরা যাতে কোনোভাবে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক পরিবহন করতে না পারে তার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছে ঘাটে।
পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিকের কোনো পণ্য রয়েছে কি না তল্লাশি করছে তারা। যাদের কাছে পলিথিন পাওয়া যাচ্ছে তা ফেলে দিয়ে বিকল্প হিসেবে তাদেরকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে পাটের তৈরি ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জাহাজে তদারকি করছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ জমির উদ্দিন বলেন,'সেন্টমার্টিন দ্বীপে পলিথিন ও ওয়ানটাইম প্লাস্টিক কমানোর লক্ষ্যে ১০টি টিম গঠন করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
তারা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ মনিটরিং, স্ক্যানিং ও যাবতীয় অন্যান্য দ্বায়িত্ব পালন করবেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের ১০জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে এ ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও সাথে রয়েছেন। পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৮ নভেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ স্বাক্ষরিত লিখিত এক অফিস আদেশে এ টিমগুলো গঠন করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করবেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ ইবনে সাদেক ও চট্টগ্রাম গবেষণাগার কার্যালয়ের জুনিয়র কেমিস্ট মোঃ শফিকুল ইসলাম। ৩ ডিসেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট গোলাম বাশির আহমেদ ও চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. শাখাওয়াত হোসেন।
৭ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট রুবাইত তাহরিম সৌরভ ও চট্টগ্রাম গবেষণাগার কার্যালয়ের জুনিয়র কেমিস্ট মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরী। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আশরাফ উদ্দিন ও চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিদর্শক আশফাকুর রহমান। ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করবেন বান্দরবান জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মো. রেজাউল করিম ও চট্টগ্রাম গবেষণাগার কার্যালয়ের সরকারি বায়োকেমিস্ট কামাল হোসেন।
১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মো. রায়হান মোর্শেদ ও কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মুসাইব ইবনে রহমান। ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা সদর দপ্তরের সমন্বয় শাখার সরকারি পরিচালক মো. রাসেল মাহমুদ ও ঢাকা সদর দপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক তাপস চন্দ্র পাল।
২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করবেন খাগড়াছড়ি জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক মোঃ ওবায়দুল হক ও কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. তাওসাফুল ইসলাম। ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করবেন নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সহকারী পরিচালক নুর হাসান সজীব ও ফেনী জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. শাওন শওকত। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ্বায়িত্ব পালন করবেন ফেনী জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মোঃ তানভীর হোসেন ও নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. মিলন হোসেন।