পালং জাজিরাকে একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই: লেঃ কর্নেল (অবঃ) সৈয়দ নজরুল ইসলাম
মো ফারুক হোসেন, শরীয়তপুর
লেঃ কর্নেল (অঃ) সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাসেল শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবার সম্ভ্রান্ত মুসলিম মোড়ল পরিবারের সন্তান। তার পিতা মরহুম এ কে সফিউদ্দিন আহমেদ (সফি মোড়ল) একজন খ্যাতিমান শিক্ষক ও সমাজসেবক ছিলেন। তার মা মমতাজ বেগম সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে কর্ম জীবনের অবসর গ্রহণ করেছেন।
তিনি ১৯৯২ সালে জাজিরা মোহর আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন ও সরকারী বিজ্ঞান কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাস করেন এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ এবং বাংলাদেশ আর্মি এভিয়েশন স্কুল থেকে কোয়ালিফাইড হেলিকপ্টার ইন্সট্রাক্টর (কিউএইচআই) ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৯৮ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদানের পর তিনি কমান্ডো এবং হেলিকপ্টার পাইলট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন। বিভিন্ন মিশনে সাহসিকতার জন্য তিনি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পিপিএম পদক লাভ করেন। ২০১৮ সালে তিনি সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
লেঃ কর্নেল (অবঃ) সৈয়দ নজরুল ইসলাম বর্তমানে নাসাস মার্কেটিং লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০১৮ সালে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবক ও পদ্মা ক্লাব লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
লেঃ কর্নেল (অঃ) নজরুল ইসলামের সমাজ সেবায়ও রয়েছে বেশ অবদান। সে এলাকায় কর্নেল নজরুল নামে পরিচিত এবং শরীয়তপুরের জাজিরা ও পালং উপজেলায় সমাজ সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তিনি মাদকবিরোধী আন্দোলন সোসাইটি শরীয়তপুর ও জাজিরা যুবক কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর প্রধান উপদেষ্টা এবং জাজিরা প্রেসক্লাবের একজন সম্মানিত উপদেষ্টা।এছাড়াও নুরুজ্জামান জামে মসজিদ ও আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন এর সভাপতি।
তিনি নিজ উদ্যোগে নাসাস মার্কেটিং লিঃ, নাসাস অটো রাইস মিল লিঃ এবং নাসাস এভিয়েশন লিঃ প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, স্ক্র্যাপ ব্যবসা সহ বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত এবং আন্তর্জাতিক বৈমানিক প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কাজেও তিনি নিজেকে যুক্ত রেখেছেন।
পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান জনক। স্ত্রী শায়লা সারমিন ও ছেলে নিয়ে সহ সুখী পরিবার। ছেলে-মেয়েরা বর্তমানে ঢাকা সেনানিবাসে অধ্যয়নরত।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম তার কর্মজীবনের মতোই অবসরকালীন সময়ে সমাজ ও দেশের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রেখেছেন। তিনি জাজিরাবাসীর গণমানুষের একজন মুখপাত্র হিসেবে সুপরিচিত। জনসেবার মাধ্যমে নিজেকে সম্পৃক্ত করে, বাকি জীবন কাটাবেন এবং পালং জাজিরাকে একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন, এটাই তার একমাত্র লক্ষ্য।