ফুটবলে পৃষ্ঠপোষকতার ৩০ শতাংশ যেতো পকেটে
‘প্রান্তিক পর্যায়ে এখনো ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয়। ২০১০ সালের পর থেকে জাতীয় পর্যায়ে সেই জনপ্রিয়তা নেই। এজন্য বাফুফে অনেকাংশে দায়ী যারা দায়িত্বে ছিলেন। এমনও শুনেছি, এখানে পৃষ্ঠপোষকতা আসলে ৭০ শতাংশ ব্যয় হয়। বাকি ৩০ শতাংশ পকেটে যেতো।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। অতীতের অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে নিজের অসন্তোষ না লুকিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি। সোমবার দুপুরে বাফুফে ভবনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের ধীরগতি ও মাঠ স্বল্পতা নিয়েও ক্রীড়া উপদেষ্টা নিজের অবস্থান তুলে ধরেন। সংস্কার কাজের সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন ফিরিয়ে দেওয়ার তথ্যও দেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘স্টেডিয়ামের প্রাথমিক বাজেট ছিল ৯৮ কোটি, সেটা বেড়ে এখন ১৫৮ কোটি টাকা। আমার কাছেও ফাইল এসেছিল। আমি ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলেছি। ফ্লাডলাইটে একটু সময় লাগতে পারে। এই স্টেডিয়ামে এত ব্যয়ের আগে সম্ভাব্যতা যাচাই সেভাবে হয়নি। চট্রগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ফুটবলের জন্য ডেডিকেট করবো।’ ফেডারেশনে আসার পর নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের কারো সঙ্গে আলোচনায় বসেননি আসিফ মাহমুদ। কারণটি নিজেই খোলাসা করে বলেন, ‘কর্মকর্তাদের অনেককে নিয়ে দুদক কাজ করছে। এজন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় আসিনি।’