বসতবাড়ি থেকে নামতে শুরু করেছে তিস্তার পানি

Sep 29, 2024 - 21:30
বসতবাড়ি থেকে নামতে শুরু করেছে তিস্তার পানি
নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে চার দিনের ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি কিছুটা বাড়লেও এখন কমতে শুরু করেছে। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টায় তিস্তা ব্যারেজের পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ডালিয়ার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, 'রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ছয়টার দিকে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে সকাল নয়টায় পানি কমে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার, বারোটায় ৩ সেন্টিমিটার ও দুপুর তিনটায় ৫সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে রাত ১২টায় বিপৎসীমা অতিক্রম করে। এই পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানির বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার।'
স্থানীয়রা জানান, পানি বৃদ্ধির সাথে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদী বেষ্টিত ১৫টি চর গ্রামের প্রায় চার হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। বর্তমানে পানি কমায় ধীরে ধীরে বসতবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, 'কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে গতকাল তিস্তা নদীর পানি বাড়ে। যা আজ রোববার সকাল নয়টা পর্যন্ত অব্যাহত আছে। এতে তাঁর ইউনিয়নের পূবছাতনাই ও ঝাড়সিংহেরস্বর মৌজার প্রায় ১ হাজার ২০০ পরিবার পানিবন্দী হয়েছে পড়েছে।'
খালিশাচাপানী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রবিউল ইসলাম বলেন, 'দুই দিন ধরে তিস্তায় পানি বাড়ছে। আজ সকাল পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তিস্তাপারে বসবাসরত পরিবারগুলো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। পূর্ব ও পশ্চিম বাইশপুকুর গ্রামে দেড় শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে।'
ডালিয়া পানি উন্নয়ন উপ-বিভাগ-২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী প্রীতম কুমার সরকার বলেন,'আজ সকাল ছয়টায় তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকাল নয়টায় বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। পূর্বাভাস অনুযায়ী পানি বাড়ার সম্ভাবনা নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।'