বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে বসনিয়া ও আজারবাইজানকে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

Oct 21, 2024 - 18:38
বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে বসনিয়া ও আজারবাইজানকে রাষ্ট্রপতির আহ্বান

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশে উৎপাদিত  আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং আজারবাইজান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশে এ দু’দেশের নবনিযুক্ত দুই রাষ্ট্রদূত তাদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র পেশ করার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

নবনিযুক্ত অনাবাসিক এ দুই রাষ্ট্রদূত হলেন- বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার হারিস হরলে এবং আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের এলেচিন হুসেনলি। রাষ্ট্রপ্রধান আজ দুপুরে পৃথক দুটি রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের পরিচয় পত্র গ্রহণ করেন। তিনি প্রথমে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাষ্ট্রদূতের এবং পরে আজারবাইজানের রাষ্ট্রদূতের পরিচয় পত্র গ্রহণ করেন।

পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। রাষ্ট্রদূতদের বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বসনিয়া ও হার্জেগোবিনা এবং আজারবাইজানের সাথে বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ।

তিনি দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে কাজে লাগাতে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়ের ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধা-দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগের পাশাপাশি তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিক, চামড়াজাত পণ্যসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পণ্যের  আমদানি বাড়াতে নতুন রাষ্ট্রদূতদের কাজ করারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।

সাক্ষাতকালে বসনিয়া ও হার্জেগোবিনার নতুন রাষ্ট্রদূত ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তার দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকার ভুয়সী প্রশংসা করেন।

বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা  তুলে ধরে আজারবাইজানের  রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে তিনি কাজ করবেন । এ দুই রাষ্ট্রদূত  দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা  কামনা করেন। এদিকে, তারা সকালে বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর) এর একটি চৌকস অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূতদের ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।

সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনি এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী  এবং পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন  উপস্থিত ছিলেন।