নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা- ২০২৫ আয়োজনে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুগত ও সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়েছে মর্মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।
১২ ডিসেম্বর জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা- ২০২৫ আয়োজনে ১৪টি লটে দরপত্র আহ্বান করা হয়। যার তাং- ০৬/১১/২০২৪। তার মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন লটে দরপত্র জমা দেয়। কিন্তু কিছু লটে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুগত পদ ধারী প্রতিষ্ঠানের মালিক যেমন এফ-৫ ও ই-৩ নামক প্রতিষ্ঠান এফ-৫ লট নং- ২ ও ই-৩ লট নং- ৩ এর কাজ পায় বলে আমরা জানতে পেরেছি। এফ-৫ ও ই-৩ প্রতিষ্ঠানের মালিক বিগত সরকারের দোসর ও সুবিধাভোগী।
তারা গত সরকারের আমলে প্রভাব বিস্তার করে একচেটিয়া সব ইভেন্ট এর কাজ করেছে এবং ছাত্র/জনতার আন্দোলনের সময় তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ছাত্র জনতার আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য ফেসবুক ও ইউটিউব এ বুস্টিং এর কাজ পায় এবং তারা এ কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার আরাফাত হোসেন, মামুনুর রশিদ ও এর অংশীদাররা পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারি হাফিজুর রহমান লিকু ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকির-সোহাগের ছত্রছায়ায় সরকারের বিভিন্ন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ বাগিয়ে নেয়।
তাই আবেদন কারীরা এফ-৫ ও ই-৩ নামক প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে আবেদনকারী অন্য কোন প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
এফ ফাইভ কমিউনিকেশন নামক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান স্বৈরাচার সরকারের নেতাদের কালো টাকা সাদা করার প্রতিষ্ঠান। পতিত সরকারের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আঙ্গুল ফুলে হয় কলা গাছ। ২৮ তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানটিকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ দেয়া হয়। কোন রকম *প্রতিযোগিতা* ছাড়াই মডেল মসজিদ উদ্বোধনের কাজ বাগিয়ে নেয় এই চক্র। এছাড়াও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ হাসিনার যাবতীয় অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন দিবস উদযাপনের কাজ একচেটিয়া এফ ফাইভ কমিউনিকেশন করতো।
আবেদনপত্রের অনুলিপি প্রধান উপদেষ্টা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যানকে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই আরাফাত হোসেন, মামুনুর রশিদরা পতিত স্বৈরাচারের দোসর হওয়ায় ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের জনরোষের শিকার হয়।আন্দোলনকারীদের দমনে অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে। যার প্রমাণ মেলে একাধিক গণমাধ্যমের সংবাদে।