বাবর-শাহিন-নাসিমকে ‘বিশ্রাম’, মুখ খুললেন শহিদ আফ্রিদি
পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ দুই টেস্টে তিন তারকাকে বাদ দেওয়ায় পর আলোচনা-সমালোচনা ডালপালা মেলেছে সর্বত্র। হটটপিক নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি।
শহিন আফ্রিদি নিয়েছেন কিছুটা ব্যতিক্রমী অবস্থান। যেখানে সাবেক ও বর্তমান অনেক ক্রিকেটার বাবরকে বাদ দেওয়ায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সমালোচনা করেছেন, সেখানে শহিদ আফ্রিদি করলেন প্রশংসা। অর্থাৎ তিন তারকাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত ‘বুমবুম আফ্রিদি’ খ্যাত এই সাবেক ক্রিকেটারের কাছে।
শহিদ আফ্রিদি নিজের মতের পক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন। বাদ পড়াটা তিনজনের ক্যারিয়ারকে আরও দীর্ঘ করতে সহায়তা করবে বলে মনে করেন তিনি। একইসঙ্গে তরুণ, বুদ্ধিমান ও প্রতিভাবান ক্রিকেটাররাও নিজেদের সামথ্য প্রমাণের সুযোগ পাবেন। উদীয়মান কোনো তারকার সন্ধান পাওয়া গেলে পিসিবিও তাদের পরিচর্যা করার সুযোগ পাবে।
সাবেক অধিনায়ক মনে করেন, যদি ভালো ক্রিকেটার পাওয়া যায়, তাহলে পাকিস্তানের বেঞ্চও শক্তিশালী হবে। সেক্ষেত্রে বাবর, শাহিন ও নাসিমদের মতো চ্যাম্পিয়ন তারকার ব্যাক-আপ হিসেবে তাদেরকে কাজে লাগানো যাবে। এতে দেশের ক্রিকেট আরও শক্তিশালী হবে।
আফ্রিদি নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেন, ‘বাবর, শাহিন এবং নাসিমকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিরতি দিতে নির্বাচকদের সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন করি। এই পদক্ষেপটি কেবল এই চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ারকে রক্ষা করতে এবং প্রসারিত করতে সহায়তা করে না। বরং উদীয়মান প্রতিভাবানদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং শক্তিশালী বেঞ্চ তৈরি করার একটি দুর্দান্ত সুযোগও করে দেয়। ভবিষ্যতের জন্য এটি শক্তিতে পরিণত হবে।’
এদিকে বাবরকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পাকিস্তান ক্রিকেটের ভালোর জন্যই নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন পিসিবির এক মুখপাত্র। সামনের খেলাগুলোতে যেন তারা আরও ভালো করতে পারেন, সেজন্য তাদেরকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পিসিবির পক্ষ থেকে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে হারে পাকিস্তান। এরপর নির্বাচক কমিটিতে বদল আনে পিসিবি। কমিটিতে নতুন সদস্য হয়ে আসেন আলিম দার, আকিভ জাভেদ, আজহার আলি ও হাসান চিমা। তারপরই বাবরকে বাদ দেওয়ার মতো চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত আসে।