বিজ্ঞান ভিত্তিক মুক্ত চিন্তার সমাজ চাই: শারমিন মুরশিদ
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ বলেছেন, আমরা বিজ্ঞান ভিত্তিক মুক্ত চিন্তার সমাজ চাই। তিনি আজ রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৪’ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কন্যাশিশুর স্বপ্নে গড়ি আগামীর বাংলাদেশ’।
শারমিন মুরশিদ বলেন, ‘আমরা এমন একটি দেশ চাই যে দেশ হবে শিশু বান্ধব। এমন একটি সমাজ চাই যে সমাজ হবে শিশুর মুক্ত চিন্তার উৎকৃষ্টতম স্থান। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় শিশুদের জন্য থাকবে খেলাধুলার স্থান, বেড়ে ওঠার নির্মল পরিবেশ।’
তিনি বলেন,‘আমরা চাই প্রতিটি পাড়া মহল্লায় থাকবে শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের উপযুক্ত পরিবেশ। আমরা বিজ্ঞান ভিত্তিক মুক্ত চিন্তার সমাজ চাই। আমাদের বর্তমান সভ্যতা আসলে বিজ্ঞান ভিত্তিক সভ্যতা। যে সভ্যতায় উদ্ভাবিত সব প্রযুক্তি এই বৈজ্ঞানিক নিয়ম-কানুনের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।’
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আমাদের সন্তানেরা যখন গুলি খেয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পরলো। তখনই আমাদের আপনাদের বিবেক নাড়া দিয়েছে, আর না এখনই রুখতে হবে। শিশুদের সঙ্গে মা-বাবা শিশুর সুরক্ষায় তার পাশে অধিকার আদায়ে সংগ্রামে রাজপথে নেমে এসেছে। আমরা আর ৫ আগস্টে ফিরে যেতে চাই না।
তিনি আরো বলেন, আমরা সত্যকে সত্য বলিনি, অন্যায়কে সহ্য করেছি মুখ বুঝে। আমাদের নীতি নৈতিকতা বধির হয়ে গিয়েছিল। আমাদের নিজেদের মধ্যে নৈতিকতা না থাকলে শিশুদের কি শিক্ষা দিবো? আজকের শিশুদের বুদ্ধিবৃত্তি এবং জ্ঞানের যায়গায় থেকে অনুপ্রাণিত করতে হবে। আমরা কেনো আমাদের শিশুদের নিরাপত্তা দিতে পারছিনা বলে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের এই শিশুরাই ছিল অগ্রভাগের সৈন্য। এই শিশুরাই এনে দিয়েছে নতুন এক বাংলাদেশ। তাদেকে একটি সুন্দর নিরাপদ বাংলাদেশ উপহার দেয়া আমাদের দায়িত্ব। আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে, মানুষকে সম্মান দিতে হবে।
আজকের শিশু আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক, দেশ সংস্কারক ও উদ্যোক্তা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, শিশুদের আনন্দ দিতে হবে। আনন্দের মধ্য দিয়ে নীতি-নৈতিকতা, আদর্শ, শিষ্টাচার ও পড়াশোনা শেখাতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল কাজ শেখাতে হবে। এতে তার চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পাবে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সেভ দ্যা চিলড্রেন বাংলাদেশের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্ত্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক তানিয়া খান।