ভালো খেলতে না পারার আক্ষেপ, শান্ত-হৃদয়ের কণ্ঠে
গতকাল টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে ১৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হারের লজ্জা পায় সফরকারী বাংলাদেশ। টেস্টের মত টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ হয় টাইগাররা। তৃতীয় ম্যাচে যেভাবে বাংলাদেশ হেরেছে তাতে একরাশ হতাশা নিয়ে এবারের ভারত সফর শেষ করতে হলো বাংলাদেশকে। পুরো সিরিজে ভালো খেলতে না পারার আক্ষেপ ঝড়লো বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়ের কণ্ঠে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ ৭ উইকেটে ও ৮৬ রানে হেরেছিলো বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ জিতে ভারত সফরের শেষটা রঙিন করার স্বপ্ন ছিলো টাইগারদের। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলা করেছে ভারতীয় ব্যাটাররা। হায়দারাবাদে চার-ছক্কার উৎসবে ৬ উইকেটে ২৯৭ রানের পাহাড় সমান সংগ্রহ পায় ভারত। ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ৪৭ বলে ১১১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন।
২২টি ছক্কা ও ২৫টি চারে গড়া ভারতের পাহাড় সমান রান টপকাতে গিয়ে বাংলাদেশের টপ-অর্ডারদের ব্যর্থতা অব্যাহত থাকে। ২০’এর ঘরেও পা রাখতে পারেননি তিন টপ-অর্ডার ব্যাটার পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। চতুর্থ উইকেটে লিটন দাস ও হৃদয়ের ৩৮ বলে ৫৩ রানের জুটিও লড়াই করার জন্য যথেষ্ট ছিলো না। লিটন ৪২ রানে ফিরলেও টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়।
ভালো খেলতে না পারার আক্ষেপের কথা ম্যাচ শেষে জানালেন বাংলাদেশ দলনেতা শান্ত, ‘আমরা সেরা ক্রিকেট খেলিনি। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তববায়ন করিনি। কিছু ম্যাচে আমরা কয়েক ওভার ভালো বল করেছি, কিন্তু আজ আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। আমাদের নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে, তাহলে যেকোন দলের বিপক্ষে লড়াই করতে পারবো। প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব নিতে হবে। ঘরের মাঠে আমাদের উইকেটে পরিবর্তন আনতে হবে। আজ হৃদয়ের ব্যাটিং দারুণ ছিল। পেসাররা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। তবে আমাদের টপ অর্ডারকে আরও উন্নতি করতে হবে।’
ভালো করতে না পারার আক্ষেপ বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা হৃদয়ের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হৃদয় বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের জন্য খুবই ভালো উইকেট ছিলো। আমরা ভালো বোলিং করিনি। শুধু বোলিং না, পুরো সিরিজে ব্যাটিংও ভালো করিনি। আমাদেও ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করতে হবে।’ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচে বল হাতে ১ উইকেট এবং ব্যাট হাতে ৮ রান করেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ১৪১ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে ২৪৪৪ রান এবং ৪১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।