যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় লেবানন থেকে প্রথম ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রে
ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের একটি শহর থেকে প্রথম প্রত্যাহার পরিচালনা করেছে এবং একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে লেবাননের সামরিক বাহিনী তাদের প্রতিস্থাপন করেছে। বুধবার ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এর উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
সেন্টকম এক বিবৃতিতে বলেছে, কমান্ডের নেতা জেনারেল এরিক কুরিলা "(যুদ্ধবিরতি) চুক্তির অংশ হিসাবে লেবাননের আল-খিয়ামে চলমান প্রথম ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রত্যাহার এবং লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী প্রতিস্থাপনের সময় আজ বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ সদর দফতরে উপস্থিত ছিলেন।
কুরিল্লাকে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শত্রুতার স্থায়ী অবসানের বাস্তবায়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ এবং অব্যাহত অগ্রগতির ভিত্তি। লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন যে আজকে খিয়াম এবং মারজায়ুন এলাকায় সেনা মোতায়েন করা যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দক্ষিণে সেনা মোতায়েনকে শক্তিশালী করার একটি মৌলিক পদক্ষেপের প্রতিনিধিত্ব করে।
"দক্ষিণে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার" দিকে "আমরা সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টাকে স্যালুট করি," মিকাতি এক্স-এর একটি পোস্টে বলেছেন। এদিকে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে তাদের ৭ম ব্রিগেড "দক্ষিণ লেবাননের খিয়ামে তাদের মিশন শেষ করেছে।" ইসরাইল এক বিবৃতিতে বলেছে, যুদ্ধবিরতির সমঝোতা অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনীর সৈন্যদের এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউএনআইএফআইএল-এর সাথে এই এলাকায় একত্রে মোতায়েন করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, দক্ষিণ ইসরাইলে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর এর সমর্থনে তার মিত্র হিজবুল্লাহ প্রায় এক বছরের আন্তঃসীমান্ত লড়াই চালিয়ে যায়। সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে ইসরাইল দক্ষিণ লেবাননে তার সামরিক অভিযান জোরদার করে। একটি যুদ্ধবিরতি ২৭ নভেম্বর কার্যকর হয় এবং সাধারণত তা বহাল রয়েছে, যদিও উভয় পক্ষই একে অপরকে বারবার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে।
চুক্তির অংশ হিসাবে, ৬০ দিনের মধ্যে ইসরাইলি সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করায় লেবাননের সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা দক্ষিণ লেবাননে মোতায়েন করা হবে। হিজবুল্লাহ দক্ষিণ লেবাননে তার সামরিক অবকাঠামো ভেঙে ফেলে এবং সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (২০ মাইল) উত্তরে লিতানি নদীর উত্তরে তার বাহিনী প্রত্যাহার করে।