রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। আজ বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত বেলারুশ ও এস্তোনিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত এবং উগান্ডার অনাবাসিক হাইকমিশনার তাঁদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রথমে বেলারুশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মিখাইল কাসকো (Mikhail KASKO) পরিচয়পত্র পেশ করেন। এরপর এস্তোনিয়ার রাষ্ট্রদূত মারি লুপ এবং সবশেষে উগান্ডার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার জয়েস কাকুরামাতসি কিকাফানদো রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন বাসসকে জানান, তাঁরা সকালে বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর)-এর একটি চৌকস অশ্বারোহী দল রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের গার্ড অব অনার প্রদান করে। নতুন দূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বেলারুশ, এস্তোনিয়া ও উগান্ডাসহ বিশ্বের সকল দেশের সাথেই দ্বিপক্ষীয় ও পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিকস ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করে। রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্যের আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এসব দেশের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনি এ লক্ষ্যে বেলারুশ, এস্তোনিয়া ও উগান্ডার সাথে দ্বিপক্ষীয় সরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদলের পারস্পারিক সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য একটি মারাত্মক সমস্যা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এই রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতগণ বাংলাদেশ ও নিজ নিজ দেশের জনগণের উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করার আগ্রহের কথা জানান। এছাড়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক এগিয়ে নিতেও তারা কাজ করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ পময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।