লুইসের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ১৯ বছর পর শ্রীলংকার মাটিতে ওয়ানডে জিতলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওপেনার এভিন লুইসের ৬১ বলে ১০২ রানের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ১৯ বছর পর শ্রীলংকার মাটিতে ওয়ানডে ম্যাচ জিতলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতরাতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বৃষ্টি আইনে ৮ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে। ২০০৫ সালের আগস্টে সর্বশেষ শ্রীলংকার মাটিতে ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর শ্রীলংকার মাটিতে ১০ ম্যাচ হারে ক্যারিবীয়রা। শেষ ম্যাচ হারলেও প্রথম দুই ওয়ানডে জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতলো শ্রীলংকা।
পাল্লেকেলেতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৭.২ ওভারে ১ উইকেটে ৮১ রান করে শ্রীলংকা। এরপর বৃষ্টির কারণে প্রায় পাঁচ ঘন্টা বন্ধ থাকে খেলা। এতে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ২৩ ওভারে। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিসের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ২৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫৬ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলংকা। মেন্ডিস ঝড়ে বৃষ্টির পর ৩৪ বলে ৭৫ রান যোগ করে লঙ্কানরা।
নিশাঙ্কা ৬২ বল খেলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৬ রানে রান আউট হন। ১৯ বলে ওয়ানডেতে ৩১তম হাফ-সেঞ্চুরির পর ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন মেন্ডিস। ২২ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য ২৩ ওভারে ১৯৫ রানের টার্গেট পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৩৬ রানের সূচনার পর ব্যক্তিগত ১৬ রানে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার ব্রান্ডন কিং। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৪ বলে ৭২ রানের জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন লুইস ও অধিনায়ক শাই হোপ।
২২ রান করে হোপ আউট হলেও, শেরফানে রাদারফোর্ডকে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের আশা ধরে রাখেন ৩৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করা লুইস। শেষ ১০ ওভারে ১০১ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুন জয় এনে দেন লুইস-রাদারফোর্ড। তৃতীয় উইকেটে ৪৫ বলে ৮৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তারা।
দলের যখন ৫ রান প্রয়োজন তখন সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে ছিলেন লুইস। ২২তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিতের পাশাপাশি পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন লুইস। ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬১ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন ৩৯ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নামা এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। তাই ম্যাচ সেরা হয়েছেন লুইস। সিরিজ সেরা হন শ্রীলংকার চারিথ আসালঙ্কা। ওয়ানডের আগে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিলো শ্রীলংকা।