শহিদদের আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ আন্দোলন সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যোগাবে: উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলছেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদদের আত্মত্যাগ ভবিষ্যৎ আন্দোলন সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আজ বৃহস্পতিবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ সাফওয়ান আখতার সদ্য-এর পরিবারের সদস্যরা উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শহিদদের আত্মত্যাগ ভবিষ্যতের আন্দোলন সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যোগাবে। তাদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে হবে। তাদের মর্যাদা দিতে হবে। শতবছর পরেও যেন এই বিপ্লবের বীরদের কথা স্মরণ করে সমাজ বিপ্লবের অনুপ্রেরণা পায়। সাক্ষাৎকালে শহিদ সাফওয়ানের বাবা ড. মো. আখতারুজ্জামান লিটন ছেলের মৃত্যুর বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় আবেগ ঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা সাফওয়ানের বাবাকে বুকে টেনে নিয়ে সান্তনা দেন।
শহিদ সাফওয়ান এর বাবাকে সকল বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, সাফওয়ান দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। তার এই আত্মত্যাগ বিফলে যাবেনা। আন্দোলনের শহিদদের কথা সামনে রেখেই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সকল শহিদ এবং আহতদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শহিদদের স্মৃতিগুলো একত্রিত করার ভাবনা আমাদের আছে।
সাফওয়ানের বাবা ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ছাত্র জনতার নেতৃত্বে যে দেশ হয়েছে সেটা যেন নতুন বাংলাদেশ হয়। আমাদের যেন পিছনে ফিরে যেতে না হয়। আমার ছেলের মত কেউ যেন পুলিশের গুলিতে শহিদ না হয়। সাক্ষাৎকালে শহিদ সাফওয়ানের মা ও বোন উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাভার ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী সাফওয়ান আখতার সদ্য ৫ আগস্ট সাভার থানার কাছে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।