শ্রীলঙ্কার নতুন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত আইএমএফ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল শ্রীলঙ্কার নতুন সরকারের সাথে দেশটির জন্য তাদের বিতর্কিত ২.৯ বিলিয়ন ডলার বেলআউট কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন আইএমএফ-এর একজন মুখপাত্র। কলম্বো থেকে এএফপি জানায়, প্রেসিডেন্ট হিসাবে সোমবার শপথ নেয়ার পর অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে বলেছেন, তিনি চুক্তিটি পুনরায় আলোচনা করতে চান।
ওয়াশিংটনে আইএমএফের একজন মুখপাত্র সোমবার বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকের সাথে আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি। ...শ্রীলঙ্কাকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পথে সাহায্য করেছে এমন কষ্টার্জিত অর্জনগুলো ধরে রাখা প্রয়োজন।’ আইএমএফ উল্লেখ করেছে এপ্রিল ২০২২ সালে তার ঋণ খেলাপি হওয়া শ্রীলংকা বেলআউটের পর থেকে স্থিতিশীল রয়েছে।
মুখপাত্র বেলআউটের পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা নতুন প্রশাসনের সাথে আইএমএফ-সমর্থিত প্রোগ্রামের তৃতীয় পর্যালোচনার সময় নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা করব।’ নতুন প্রেসিডেন্টের একজন সিনিয়র সহকারী নির্বাচনের একদিন পর বলেন, তার পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট দল আইএমএফ চুক্তি ‘ভঙ্গ করবে না’।
বিমল রতয়েকে বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা হল, আইএমএফের সাথে যুক্ত হওয়া ও কিছু সংশোধনী আনা। এটি একটি বাধ্যতামূলক দলিল, তবে এতে পুনরায় আলোচনার বিধান রয়েছে।’ সোমবার দিশানায়েকের দায়িত্ব গ্রহণের পর লেনদেনের প্রথম কয়েক মিনিটের মধ্যে শ্রীলঙ্কার স্টক মার্কেটে দ্রুত দরপতন ঘটে। কিন্তু দ্রুতই তা আবার বাড়তে শুরু করে এবং সকল শেয়ার মূল্য সূচক আগের চেয়ে ১.১৯ শতাংশ বৃদ্ধি দিয়ে দিনের শেষ হয়। দিশানায়েকে আয়কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তার পূর্বসূরী রনিল বিক্রমাসিংহে এটি দ্বিগুণ করেছিলেন। তিনি খাদ্য ও ওষুধের ওপর বিক্রয় কর কমানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
রতয়েকে বলেন, ‘আমরা মনে করি যে, আমরা এই হ্রাসগুলো প্রোগ্রামে পেতে পারি এবং চার বছরের বেলআউট প্রোগ্রামটি চালিয়ে যেতে পারি।’ ডিসানায়েকের প্রতিদ্বন্দ্বীরা আশঙ্কা করেছিল যে, তার মার্কসবাদী দল আইএমএফ প্রোগ্রাম বাতিল করে দেশকে ২০২২ সালের বিশৃঙ্খলার মতো অর্থনৈতিক সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। একটি বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঘাটতির কারণ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে। শেষ পর্যন্ত তৎকালীন নেতা গোতাবায়া রাজাপক্ষ পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।