‘সাগর-রুনি হত্যায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করতে পারব’

Oct 26, 2024 - 18:22
‘সাগর-রুনি হত্যায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করতে পারব’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচারের সব বাধা কেটে গেছে। নৃশংস হত্যার শিকার হয়েছেন তারা। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঘাতকদের দ্রুত শনাক্ত করতে পারবো।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে  বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ক্র্যাব বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্র‍্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান ও অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মাইনুল ও র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস। তিনি বলেন, আমার প্রত্যাশা, আপনারা (সাংবাদিকরা) যদি সোচ্চার হন আমরা সাগর-রুনি হত্যার বিচার পাবো। যেমন বিগত ১৭ বছরে যে নির্যাতন ও অপরাধ হয়েছে সেই অপরাধীদের বিচারও আমরা দেখতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, আগে গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লব হতো ঢাকা কেন্দ্রীক। কিন্তু এবারের গণঅভ্যুত্থান প্রকৃত অর্থে গণজোয়ার। শুধু ঢাকা শহর নয় মাঠে-ঘাটে এবং গ্রাম অঞ্চলেও গণজোয়ার এসেছে। অনেকে মনে করেন গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লব ফুরিয়ে গেলো নাতো। আমি বলতে চাই, বিপ্লব এখনও ফুরিয়ে যায়নি। মানুষ সংস্কার চায়, সেগুলো চলতে থাকবে।

উপদেষ্টা বলেন, এবারের গণঅভ্যুত্থানের গণজোয়ার গ্রামেও এসেছে। এর ফলস্বরূপ ইউনিয়ন পর্যায়ের মেম্বাররাও পলাতক। কারণ তাদের নির্যাতনের কারণে গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ ছিলো। এই মানুষদের সামনে দাঁড়ানোর সাহস তাদের নেই। স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ১৭ বছরের নির্যাতন অত্যাচারের পর যখন দরজা খুলে যায়, গণজোয়ার আসে তখন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। তবে সেরকম কিছু ঘটেনি।

ডিএমপি কমিশনার মাইনুল হাসান বলেন, ৪১ বছরের পথচলায় ক্র্যাবের পরিধি অনেক বেড়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ক্র্যাব সদস্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা কাজ করছি। অনেকসময় অপরাধ দমন করতে গিয়ে ভুল-বোঝাবুঝির কারণে পুলিশ সদস্যদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। আমরা প্রত্যাশা করবো, সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ খবর প্রকাশ করবে। আমরা সবসময় পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বন্ধন দৃঢ় করতে চাই।

এর আগে কেক কেটে ক্র্যাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়। অতিথিদের বক্তব্য শেষে ‘ক্র্যাব বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’ বিজয়ী ৩ সাংবাদিককে ক্রেস্ট তুলে দেন প্রধান অতিথি। অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীরা হলেন- প্রথম আলোর মাহমুদুল হাসান নয়ন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের নাজমুল সাঈদ ও ঢাকা পোস্টের জসীম উদ্দীন। ৩টি পৃথক ক্যাটাগরিতে তারা বিজয়ী হন।