সেনা, ছাত্র-জনতা গড়ে তুলেছে একতা : আসিফ
ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে অসহায় হয়ে পড়েছে দেশের ৯টি জেলার বিস্তীর্ণ জনপদের কয়েক লাখ মানুষ। এমন অবস্থায় বন্যায় আক্রান্তদের বিভিন্ন মর্মান্তিক চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফুটে উঠছে। যেসবে শুধুই হাহাকার, অসহায়ত্বের দেখা মিলছে।
বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও নৌবাহিনী যোগ দিয়েছে। এগিয়ে আসছে দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। সকলেই নিজ নিজ উদ্যোগে ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, মৌলভীবাজারের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
এদিকে তারকা মহল থেকেও অনেকেই বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন। জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী আসিফ আকবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাতে হাতে রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামের আহ্বান জানিয়েছেন।
সাময়িক বিপর্যয়ও কেটে যাবে উল্লেখ করে এ সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘সাময়িক বিপর্যয়ও কেটে যাবে, তারপর ভেসে উঠবে ক্লেদমুক্ত নতুন বাংলাদেশ। সেনা ছাত্র জনতা-গড়ে তুলেছে একতা। জেগেছে রে জেগেছে, বাংলাদেশ জেগেছে। লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে। অসুর বধের সময় এসেছে। এবারের সংগ্রাম, সার্বভৌমত্বের সংগ্রাম। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে হাতে হাতে রেখে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রাম।’
শেষে আসিফের ভাষ্য, ‘জনপ্রশাসন রাষ্ট্র চালাবে, পরাজিত শক্তি যেন বন্যার সুযোগে দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে। এই কঠিন সময়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা গাদ্দার চিনে রাখতে হবে। আসুন সবাই সাধ্যমতো এগিয়ে আসি বন্যার্তদের পাশে, না পারলে দোয়া করি যেন জাতি এই আজাব থেকে দ্রুত নিষ্কৃতি পায়। যে বাংলাদেশ জেগে উঠেছে, সেই বাংলাদেশ হারবেনা ইনশাআল্লাহ। ‘লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জোয়ালিমিন।’ (দোয়া ইউনুস) এর অর্থ, ‘একমাত্র তুমি ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই। তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারী। ভালবাসা অবিরাম।