হ্যারিসের বয়স ৬০ বছর হলেও ট্রাম্পের বয়স সম্পর্কে কথা বলতেই তার পছন্দ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রার্থী কমলা হ্যারিসের বয়স ৬০ বছর হলেও নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি ৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বয়স সম্পর্কে কথা বলতেই বেশি পছন্দ করেন। যিনি এখন মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
আটলান্টা থেকে এএফপি জানায়, এই নির্বাচনে বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়েছে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে ভয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যেখানে হ্যারিস তার জয় নিশ্চিত করার জন্য ট্রাম্পের মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। নির্বাচনের মাত্র দুই সপ্তাহ বাকী, ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান বিলিয়নিয়ার হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতায় রয়েছেন বলে বিভিন্ন জরিপে ফলাফলে দেখা যাচ্ছে।
দুই প্রার্থী রোববার আবার পেনসিলভানিয়ায় থাকবেন, যে যুদ্ধক্ষেত্রটিকে আগামী ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রত্যাশিত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের মধ্যে জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে আবশ্যক বলে মনে করা হয়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটি বিপর্যয়কর বিতর্কে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর বাইডেন হ্যারিসের হাতে মশালটি তুলে দেন।
তবে ট্রাম্পের বয়স ভোটারদের কাছে তেমন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে না, কারণ জরিপগুলোতে তাদের তীব্র লড়াইয়ের চিত্র ফুটে উঠছে। ‘এখন তিনি ক্লান্তির কারণে বিতর্ক এবং সাক্ষাৎকার বাতিল করছেন,’ হ্যারিস শনিবার আটলান্টায় একটি সমাবেশে উপহাস করে বলেন।।
হ্যারিস ১২ অক্টোবর একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা করেন, তবে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের প্রচারনা অফিস উল্লেখ করেছে যে তিনিও ‘কমান্ডার-ইন-চিফ হওয়ার জন্য নিখুঁত এবং দুর্দান্ত স্বাস্থ্যে আছেন’। এর একদিন পর রিপাবলিকান প্রার্থী শনিবার পেনসিলভানিয়ায় একটি ম্যারাথন বক্তৃতার মাধ্যমে হ্যারিসের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন, এই বলে যে তার "খরগোশের মতো শক্তি নেই"। উভয় প্রার্থীই তাদের চূড়ান্ত প্রচারের দিনগুলো গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্রের রাজ্যে কাটাচ্ছেন।