২০২৬ বিশ্বকাপের পরও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে আশাবাদী কেন

Nov 19, 2024 - 20:02
২০২৬ বিশ্বকাপের পরও আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার চালিয়ে যেতে আশাবাদী কেন

২০২৬ বিশ্বকাপকে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ হিসেবে দেখছেন না ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেন। এই মুহূর্তে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পারফর্ম করছেন বলেও স্বীকার করেছেন তারকা এই ফরোয়ার্ড। জানুয়ারিতে ইংল্যান্ডের নতুন কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন থমাস টাচেল। মার্চে আন্তর্জাতিক বিরতিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ দিয়ে ইংল্যান্ডের অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন টাচেল।

অন্তর্বর্তীকালীন কোচ লি কার্সলির অধীনে নেশন্স লিগে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জয়ী হয়ে থ্রি লায়ন্সরা টপ টায়ারে উন্নীত হয়েছে। গত সপ্তাহে গ্রীসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কার্সলি এ্যাওয়ে ম্যাচের দায়িত্ব শেষ করেছেন। ঐ ম্যাচে অবশ্য কেনকে বদলী বেঞ্চে রেখেছিলেন কার্সলি।

৩১ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার স্বীকার করেছেন কার্সলির এই সিদ্ধান্তে তিনি বিস্মিত হয়েছে। যদিও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মূল দলে ফিরেই তিনি গোল করেছেন। রোববারের ম্যাচটিতে ইংল্যান্ড ৫-০ গোলে জয়ী হয়েছে।

গত গ্রীষ্মে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপে কেনকে মাঝে মাঝে পরিশ্রান্ত মনে হয়েছে। ফাইনালে খেলা ইংল্যান্ডের সবকটি নক আউট ম্যাচেই কেনকে বদলী বেঞ্চে যেতে হয়েছে। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখের এই স্ট্রাইকার ক্লাব ও দেশের হয়ে এবারের মৌসুমে ২১ ম্যাচে ইতোমধ্যেই ২০ গোল করেছেন।

প্রেস এসোসিয়েশনকে কেন বলেছেন, ‘আমি মনে করি কারো বয়স ৩০’র কোটা পার করলে ধরেই নেয়া হয় ক্যারিয়ার শেষের পথে পৌঁছে গেছে। কিন্তু আমি এখনো শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করছি ও ভাল অনুভব করছি। কখনই আমি খুব বেশীদুর দেখতে পছন্দ করিনা, ক্যারিয়ারে তো নয়ই। বিশ্বকাপে খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে একটি আকর্ষণীয় বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। শিরোপা জয়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। নিজেদের উন্নতির প্রচেষ্টা সবসময়ই থাকবে। আগামী দুই বছরে রাতারাতী কোন কিছু পরিবর্তণ হয়ে যাবেনা।’

ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১০২ ম্যাচে ৬৯ গোল করে ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কেন। এখন জাতীয় দলের জার্সিতে পিটার শিল্টনের রেকর্ড ১২৫ ম্যাচ ছাড়িয়ে যাবার অপেক্ষা। ১৯৬৬ সালে একমাত্র বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পর ইংল্যান্ডকে আরো একটি সর্বোচ্চ ট্রফি উপহার দিতে মুখিয়ে আছেন কেন।

এর আগে বায়ার্নে টাচেলের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে কেনের। কেন বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের আরো একটি বড় শিরোপা জয়ের সময় চলে এসেছে। গত দুটি বড় আসরে আমরা শিরোপা খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। এখন শেষ কাজটা করে দেখাতে চাই।’